আশুলিয়ার গার্মেন্টস কর্মী হত্যা মামলার আসামি বগুড়ায় গ্রেপ্তার
আশুলিয়া প্রতিনিধি
সাভারের আশুলিয়ায় চাঞ্চল্যকর গার্মেন্টস কর্মী সাবিনা ইয়াসমিন (২৫) হত্যাকান্ডের মূলহোতা আবু তালেব (২৭) কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৪ একটি আভিযানিক দল।
সোমবার (১৭ জুন) দুপুরে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র্যাব-৪, সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান।
এর আগে রবিবার রাতে বগুড়া জেলার শাহজাহানপুর থানাধীন ওমরদিঘী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আবু তালেব (২৭) বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার দামগাড়া এলাকার বাসিন্দা এবং ভুক্তভোগী সাবিনা ইয়াসমিন (২৫) শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার দাওয়াকুড়া এলাকার বাসিন্দা বলে জানা যায়।
র্যাব জানায়, গত ১৫ জুন রাতে আশুলিয়ার গাজীরচট মুন্সিপাড়া এলাকায় সাবিনা ইয়াসমিন (২৫) নামে এক গার্মেন্টস কর্মীর মৃতদেহ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে র্যাব ৪ এর একটি গোয়েন্দা দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে কার্যক্রম শুরু করে।
এরই ধারাবাহিকতায় ১৬ জুন রাতে র্যাব-৪ এবং র্যাব-১২ এর যৌথ আভিযানিক দল বগুড়ার শাহজাহানপুর থানাধীন ওমরদিঘী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনপূর্বক হত্যাকান্ডের মূলহোতা আবু তালেব (২৭) কে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ ও ঘটনার বিবরণ সূত্রে জানা যায় যে, আসামী আবু তালেব জীবিকার তাগিদে ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় এসে একটি গার্মেন্টসে চাকুরী শুরু করে। চাকুরীরত অবস্থায় ২০১৩ সালে ভুক্তভোগী সাবিনা ইয়াসমিন (২৫) এর সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং একপর্যায়ে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিবাহ পরবর্তী সময়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। আসামীর দ্বিতীয় বিবাহের কারণের তাদের মধ্যকার মনোমালিন্য আরও তীব্র হয় এবং বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। পরবর্তীতে আসামী পুনরায় আশুলিয়ার পলাশবাড়ী এলাকায় তৃতীয় বিবাহের করে। সেখানে অবস্থান করলেও সে প্রায় ভুক্তভোগীর ভাড়া বাসায় যাতায়াত করতো ও মাস শেষে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে জোরপূর্বক তার বেতনের টাকা নিয়ে আসতো। বেতনের টাকা ও তৃতীয় বিবাহের বিষয়টি নিয়ে তাদের মাঝে পূনরায় মনোমালিন্যের সৃষ্টি হলে গত ১৩ জুন রাতে নিহতের বাসায় গ্রেপ্তার আসামী ক্ষিপ্ত হয়ে নিহতের ওড়না দিয়ে গলায় চেপে ধরে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরবর্তীতে মৃতদেহটি রুমের ভিতরে বিছানার চাদর দিয়ে ঢেকে দেয় ও রুমের তালা লাগিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর থেকে গ্রেপ্তার আসামী রাজধানীসহ বগুড়ার বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে চলে যায়।
র্যাব-৪, সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান জানান, গ্রেপ্তার আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
Leave a Reply